সোমবার, মে 20, 2024

‘অভিজ্ঞতা ও বিশ্বের আইসিটির আলোকে সাইবার নিরাপত্তা আইন হয়েছে’

Must read

- Advertisement -


মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেছেন, নিজেদের ৫ বছরের অভিজ্ঞতা ও আইসিটি সংক্রান্ত বিশ্বে যে আইন রয়েছে, সবকিছু বিবেচনায় রেখে সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। সোমবার (৭ আগস্ট) সচিবালয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ সালে হয়েছে। আমাদের পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা হয়েছে। পাশাপাশি সারাবিশ্বে আইসিটি সংক্রান্ত বিষয় ছিল। সেটির কিন্তু অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আইসিটি সংক্রান্ত বিশ্বের যে ব্যপ্তি কিংবা ধরন, বেশ পরিবর্তন এসেছে। সেসব কিছুকে বিবেচনায় রেখে সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ প্রণয়ন করা হয়েছে ।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সাইবার নিরাপত্তার বাস্তবতায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে সরকার সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ করছে। এটি নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছিল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে।এটি আজ উপস্থাপিত হয়েছে মন্ত্রিসভায়। আলোচনার মাধ্যমে লেজিসলেটিভ (আইনপ্রণয়ন) বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে নীতিগত অনুমোদন করা হয়েছে। লেজিসলেটিভ বিভাগ ভেটিং করে তারপর তারা ফাইনাল করবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটা আইন করা হয়েছে। সেটা প্রয়োগ করা হয়েছে। এখন সাইবার নিরাপত্তার যে বিষয়টি মানে দেশ এবং আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়ায় যে বাস্তবতা তৈরি হয়েছে, সেজন্য সরকার মনে করছে সাইবার নিরাপত্তার জন্য একটা আইন দরকার। সে আইন করতে গিয়ে আগের আইন থেকে কিছু ধারা, কিছু বিষয় এখানে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ আইনের আওতায় একটি এজেন্সি থাকবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, নাম হবে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি। সাইবার সংক্রান্ত কিছু অপরাধকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং সেই অপরাধের জন্য শাস্তির মাত্রা ঠিক করা হয়েছে।

আগের আইনের কাঠামোতে মূলত জামিন অযোগ্য ধারা অনেক বেশি ছিল। এখানে এসে বেশিরভাগকে জামিনযোগ্য করা হয়েছে। এজেন্সির কী কাজ এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগে ছিল ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি। নতুন যেটা হবে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি। এটার ক্ষমতা ও দায়িত্ব বিধির মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। তিনি বলেন, সাজার ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইনে জেলের ওপরে ফোকাসটা বেশি ছিল। এখানে এসে জেলের সাজার পরিমাণ কমানো হয়েছে কিন্তু আর্থিক জরিমানার অংশ রাখা হয়েছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আর্থিক জরিমানা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

- Advertisement -
- Advertisement -

More articles

- Advertisement -

Latest article